তেলের দাম বৃদ্ধি, চালের দাম বৃদ্ধি অথচ কৃষকের উৎপাদিত ফসল আলু, পিঁয়াজ, টমেটোতে লস।
কৃষক যখন ধান উৎপাদন করে তখন দাম থাকে না অথচ স্টক পার্টি/মিলাররা এখন ঠিকই চালের দাম লুটেপুটে নিচ্ছে। কোটি কোটি টাকা দূর্নীতি করা শিল্পপতিদের কোম্পানি নিজের খেয়াল খুশি মতো ভোজ্যতেলের সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার-প্রশাসনের কোনো একশন নেই উল্টো তাদের কোটি কোটি টাকা টাকা ঋণ আর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশেও প্রতি ইউনিয়নে ক্লোডস্টোরেজ/হিমাগার নেই। কৃষকেরা কষ্ট করে চাহিদার থেকে বেশি ফসল উৎপাদন করছে কিন্তু সরকারিভাবে সেটি সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের অভাবে ফসল নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার টন। কৃষকেরা নায্য দাম পায়না, এই সুযোগে দালাল ও মজুদ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে আসছে। আরিফুজ্জামান তুহিন ভাই একটা কথা বলে, কৃষকের ছেলে-মেয়ে ঢাকায় এসে ফেসবুক পোস্ট দেয় সবজির দাম ১৫/২০ টাকায় পেয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই অথচ তার পল্লী গ্রামে তার বাপে প্রতি কেজি আলুতে ৫/১০ টাকা লস করে কেঁদে মরছে, তার বাপ জানলে এমন পোলা মাইয়্যারা পিটাইতে পিটাইতে গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করতে ধরাইতো।
যাইহোক ২৪ গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ আগামীতে ক্ষমতায় যারা আসুক তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের কষ্ট বুঝুন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে, তাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ করে রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করুন, ন্যায্য মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করুন। সার-কীটনাশকের দাম কমান, ডিজেলের দাম কমান। কৃষি ভূর্তুকি বাড়ান। এতে করে ফসল উৎপাদন খরচ কম হলে এবং উৎপাদিত ফসল সঠিক সময়ে বাজারজাত ও সংরক্ষণ করতে পারলে কৃষকরা যেমন ন্যায্যমূল্য পেয়ে লাভবান হবে ঠিক তেমনি শহরের ভোক্তারাও চাল-ডাল থেকে শুরু করে শাক-সবজি সবকিছুই কমদামে পাবেন।
কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণে কাজ করুন। কৃষক- শ্রমিকরাই এদেশের প্রকৃত দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশকে দীর্ঘস্থায়ী টেকসই, সুখী, সমৃদ্ধশালী, সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের কথা শুনুন, জানুন এবং কৃষক-শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন করুন। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।।
মোঃ সোহাগ আলী~
( উদ্যোক্তা, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী )