মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মোমো নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত। বাংলাদেশ মাতৃভূমি দলের ইশতেহার প্রকাশ, রাষ্ট্র সংস্কার ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ডাঃ ফারজানার সাথে অন্যায় হয়েছে-হাবিবুর রহমান হাবিব। ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল ছিল না, ছিল আন্দোলন-গোলাম মোস্তফা। অজ্ঞান করে হাসপাতালে ফেলে রেখে অটো নিয়ে পালালো দুর্বৃত্তরা, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বিপদকালীন বেসামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করলো-মৌলিক বাংলা। খুলনার নতুন তারায় মা দিবস উদযাপন। আওয়ামী লীগ ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে এনডিপি। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা কে পত্র দিয়েছিল বিএনপি- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন।

টি-শার্ট পরা কিংবা বোরখা পরা উভয়েই নারী- সোহাগ আলী

ওড়না ছাড়া কিংবা টি-শার্ট পরা একজন নারী কিংবা বোরখা/হিজাব/শাড়ি পরা যিনি তিনিও একজন নারী।

দুইজনেই সম্মানিত মা-বোন, প্রিয়জনের জাতি।

আপনার মতাদর্শের বাইরে অথবা আপনার পছন্দের না তবুও তিনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, অন্যায় হলে তার পক্ষে দাঁড়ানোটাই একজন নীতিবান মানুষের দায়িত্ব ও সমাজের কর্তব্য।

সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবেও কে কোন পোশাক পরা তা কিন্তু দেখা হয়নি, বিপদের মূহুর্তে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করেছি।

 

আমাদের মা-বোনেরা কিংবা প্রিয়সীরা রাস্তা-ঘাটে বেইজ্জত হোক, ধর্ষণের শিকার হোক, বুলিং/ইভটিজিংয়ের শিকার হোক, অন্যায়ের শিকার হোক এইটা আমরা কেউ চাইনা। এইসব ঘটনা যেনো না ঘটে সেক্ষেত্রে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর হতে হবে এবং সময় উপযোগী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

অপরপক্ষে কিছু নারী অতিরঞ্জিত বিদেশি সংস্কৃতি, বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেউ কেউ তো আবার স্বেচ্ছায় প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ব্রেকআপ/সম্পর্ক ছিন্ন হলে অথবা মনের অমিল হলেই সেটাকে ধর্ষণ বলে মামলা করে, কেউ আবার মোহরানার টাকা/অর্থ সম্পত্তির লোভে একাধিক বিবাহে লিপ্ত হয়ে বহু পুরুষের জীবন ধ্বংস করে।

এমন বহু কারণে প্রকৃত ধর্ষণ মামলা কিংবা নারী নির্যাতন মামলাগুলো হালকা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে পরে, সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এইসবের প্রতিবাদে স্বয়ং নারীদেরকেই বেশি বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকার রক্ষায় বর্তমান বাস্তব সম্মত আইন করা জরুরি এবং

মনে রাখবেন নারী স্বাধীনতা/অধিকারের নামে এমন যেকোন বাড়াবাড়িও আইনিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, কোনোভাবেই মব জাস্টিস সৃষ্টি করা যাবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না, মনে রাখবেন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ দোষী হয়না।

 

কারো ব্যক্তি স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ যেমন করা যাবেনা ঠিক তেমনি সামজিক রীতি-নীতি রক্ষায়, নারী-পুরুষ উভয়কেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দেশের রাষ্ট্রীয় আইনকে বাস্তবসম্মত ও অধিকতর শক্তিশালী করতে হবে।

 

সোহাগ আলী~ ৬ই- মার্চ-২০২৫

(উদ্যোক্তা, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী)

মুক্ত বাংলা টিভি, ঢাকা।



লাইক করুন