বাংলাদেশের কারিগরি সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে গবেষণা কার্যক্রমে ফান্ডিং ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা না করলে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না বাংলাদেশ।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবানদের বের করে এনে বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, আধুনিক ল্যাব সহায়তা, বিজনেস আইডিয়া/ স্টার্টাআপে ফান্ডিং করে আমাদের জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে।
বিগত সময়েও বিভিন্ন সরকার কিংবা ফ্যাসিবাদী সরকার বাহিনী শুধু উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। এবং সর্বক্ষেত্রে বিদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী এনে দেশের মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী প্রযুক্তি, আইডিয়া ও মেধাবীদের সবার আগে মূল্যায়ন করতে হবে। বিদেশ থেকে প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম আমদানি কমিয়ে বাংলাদেশে সেইগুলোর উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এতে করে যেমন আমদানি খরচ কমে দেশের রিজার্ভ বাড়বে তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তাছাড়া উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের বাইরেও রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
দূর্নীতিবাজ সরকার/রাজনীতিবিদ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, কর্পোরেট কোম্পানির কারসাজি ইত্যাদি শত বাঁধা ও প্রতিকূল পরিবেশেও বাংলাদেশী প্রতিভাবানরা তাদের মেধার পরিচয় নিজ উদ্যোগে দিয়েছে বহুবার।
যেমনটা সাম্প্রতিক সময়ে মানিকগঞ্জের জুলহাস মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় হেলিকপ্টার/বিমান তৈরি করে সফলভাবে উড়িয়েছেন। এর আগে অনেকে চেষ্টা করলেও সফল হননি।
অন্যদিকে, যশোরের প্রদীপ বিশ্বাস তৈরি করেছেন কচুরিপানা কা*টার মেশিন। মাত্র তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে বানানো এই যন্ত্র এক লিটার তেলে এক ঘন্টা চলতে পারে, যা জলাশয়ের কচুরিপানা সমস্যার কার্যকর সমাধান দিতে পারে।
যদিও এই উদ্ভাবনগুলো একেবারেই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বড় কিছু নয় তবে বাংলাদেশের প্রতিকূল পরিবেশেও এইসব সফলতা কম কীসের ?
বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে এমন বহুত প্রতিভাবান রয়েছে যারা শুধু একটু সুযোগের অপেক্ষায় স্বপ্ন বুনে।
এমন স্বপ্নবাজ, প্রতিভাবান উদ্ভাবকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়া হলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাক প্রিয় বাংলাদেশ।
মোঃ সোহাগ আলী~ ৭ মার্চ, ২০২৫
( উদ্যোক্তা, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী )