সেদিন মুফতি কামাল উদ্দিন জুমার খুতবায় সবাইকে হাত তুলে ওয়াদা করিয়েছিলেন আন্দোলনে ঝাপায়ে পড়ার জন্য। জুলাই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কে এই মুফতি কামাল, কী তার অবদান চলুন পরিচয় করিয়ে দেয়।
মুফতি কামাল উদ্দিন হেফাজতে ইসলামের সহকারী অর্থ- সম্পাদক, এছাড়া তিনি উত্তরা জামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসার পরিচালক। জুলাই ছিল তার কাছে জালেমের বিরুদ্ধে একজন মুসলমানের লড়াই।
১৯ জুলাইয়ের জুমার নামাজ ছিল বছরের অন্যান্য জুমার নামাজগুলার চাইতে আলাদা, এবং জুলাইয়ের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের একটা। জুমা শেষ করে সারাদেশের মসজিদগুলা থেকে মানুষ দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে।
মুফতি কামাল উদ্দিন বলতেছিলেন, ‘সেদিন আমার জুমার বয়ানের আলোচনার সারমর্ম ছিল, হাসিনা যে একজন জালেম স্বৈরাচার, ছাত্রজনতার আন্দোলন যে যৌক্তিক, তাদের পাশে থাকার জন্য অভিভাবক হিসাবে যে আমাদেরও রাস্তায় নেমে আসা উচিত, কুরআন হাদিসের আলোকে তা মুসল্লিদের সামনে পেশ করা।’
শুধু সেই বয়ানই না, পুরা জুলাইজুড়ে মুফতি কামাল ছদ্মবেশে রাস্তায় নামতেন আন্দোলনকারীদের মধ্যে পানি, জুস বিতরণ করার জন্য। উত্তরা উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে একটা টিম তৈরি করেন, যাদের কাজ ছিল হাসপাতালে হাসপাতালে আহতদের সেবাযত্ন করা। তিনি বলতেছিলেন, ‘একবার ত সরাসরি লাইভ বুলেটের হাত থেকে বেঁচে গেছি শুধু কয়েক ইঞ্চির জন্য, বুলেটটা আমার জামার পাশ ঘেষে চলে যায়!’
৫ আগস্ট তিনি তার মাদ্রাসার সকল ছাত্রদেরকে নিয়ে গণভবনের উদ্দেশ্যে মিছিলে যোগ দেন, এবং তারই ভাষ্যমতে ‘জালেমের বিরুদ্ধে একজন মুসলমানের লড়াই’কে সফল করে ফিরে আসেন।
তথ্যসূত্রঃ JRA-জুলাই রেকর্ডস