মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মোমো নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত। বাংলাদেশ মাতৃভূমি দলের ইশতেহার প্রকাশ, রাষ্ট্র সংস্কার ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ডাঃ ফারজানার সাথে অন্যায় হয়েছে-হাবিবুর রহমান হাবিব। ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল ছিল না, ছিল আন্দোলন-গোলাম মোস্তফা। অজ্ঞান করে হাসপাতালে ফেলে রেখে অটো নিয়ে পালালো দুর্বৃত্তরা, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বিপদকালীন বেসামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করলো-মৌলিক বাংলা। খুলনার নতুন তারায় মা দিবস উদযাপন। আওয়ামী লীগ ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে এনডিপি। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা কে পত্র দিয়েছিল বিএনপি- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন।

বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া: অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।

মুক্ত বাংলা ডেস্ক: 

বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রয়েছে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনসহ ছয়টি খাতে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সরকার ঘোষণা করেছে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

রাজনৈতিক ঐকমত্যের চ্যালেঞ্জ:

বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলম সম্প্রতি এক টকশোতে বলেছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন করা সম্ভব।” তবে তিনি স্বীকার করেছেন, “সংস্কারের সব বিষয়ে তো আর একমত হওয়া যাবে না।”

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া ও বিরোধিতা:  

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার বহির্ভূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশকে “হঠকারী” আখ্যা দিয়ে বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

সংস্কার বাস্তবায়নের অন্তরায়: 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, কায়েমি স্বার্থবাদীদের প্রভাব এবং সামাজিক চাহিদার দুর্বলতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোতেই গণতন্ত্রের অভাব থাকায় তারা জাতীয় পর্যায়েও গণতন্ত্র ও সুশাসনের সংস্কার বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়।”

আশার আলো ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: 

তবে সুশীল সমাজ ও সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল সংস্কার কার্যক্রমের জন্য একটি অনুকূল সুযোগ। তাদের আশা, সরকার দ্রুত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া বর্তমানে একটি জটিল ও সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

 



লাইক করুন