ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজমিস্ত্রি সাগর ঢাকার ধামরাইয়ে এসে একটি বিল্ডিং নির্মাণের সময় হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিক শক খায়।
শক খেয়ে কোনো রকম জীবন বেঁচে থাকলেও টানা ৭০ দিন ধরে জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সিটিউট ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এক হাত ও বুকের একপাশ অচল হয়ে পড়েছে। ক্ষত বিক্ষত পুড়ে যাওয়া দেহের ক্ষতিপূরণ হিসেবে পায়ের বিভিন্ন অংশ থেকে গোশত কেটে হাত ও বুকে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে কিন্তু অসহায় দিনমজুর বাবা-ছেলের নেই চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ। কিন্তু তারপরেও ছেলেকে বাঁচাতে দিনমজুর বাবা (জাবেদ) ঋণ ধার করে এই পর্যন্ত প্রায় ২.৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন আগামী শনিবার রয়েছে একটি অপারেশন। এলাকার কোনো রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোনো সংগঠনের এখনও তেমন কোনো হেল্প পায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার অপারেশন উপলক্ষে ঔষুধপাতি সহ বিভিন্ন কারণে যেমন রয়েছে টাকার দরকার তেমনি ছিলো ও+ (পজেটিভ) রক্তের প্রয়োজন। খবর পেয়েই রক্তের ব্যবস্থা করে আমরা অগ্রিম জমা দিয়ে আসলাম।
তবে আগামীর চিকিৎসা কন্টিনিউ করতে এবং তিনার ঋণ পরিশোধ করতে রয়েছে অনেক অর্থের প্রয়োজন। যেসব মানবিক ভাই-বোন, নেতা-নেত্রী, প্রবাসী কিংবা মানবিক সংগঠন রয়েছেন দয়া করে এই অসহায় দিনমজুর, শ্রমিক বাপ-ছেলের পাশে অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন। তিনারা বর্তমান জাতীয় বার্ণ ইন্সটিটিউটের ৮ তলায় ১৮ নম্বর বেডে এডমিট রয়েছেন। সরাসরি গিয়ে হেল্প করতে পারেন অথবা আমকে নক দিলে আমি উনার বাবার নাম্বার দিয়ে দিব কিংবা আমাকেও ডাকতে পারেন আমি থাকব আপনার সাথে ইনশাআল্লাহ্। শ্রমিকের প্রতি ভালোবাসা শুধু কথায় নয় আসুন সবাই মিলে কাজে পরিচয় দেয়।
লেখা ও আহ্বানেঃ মোঃ সোহাগ আলী
( উদ্যোক্তা, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী )