স্টাফ রিপোর্টার:
রঙে কালো, দেহে পাহাড়—ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত ১,০০০ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির গরু ‘কালা বাবু’। শান্ত স্বভাবের এই গরুকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ। আসন্ন ঈদুল আজহায় এর সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
পুরো শরীরজুড়ে কালো রঙ ও বিশাল আকৃতির কারণে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। গরুটির মালিক রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, দেড় বছর আগে গ্রামের এক কৃষকের কাছ থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের কালো বাছুরটি কিনেছিলেন। তারপর থেকেই সন্তানস্নেহে লালন-পালন করে বড় করেছেন।
মনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, চালের কুড়া, ভুসি, খৈল, ভুট্টা ও অ্যাংকর খাওয়ানো হয়। খরচ হয় প্রায় ৭০০ টাকা। দিনে ২-৩ বার গোসল করাই পাইপ দিয়ে। গরমে আরাম দিতে ফ্যান চালানো হয়, আর মশা তাড়াতে প্রতিদিন চারটি কয়েল জ্বালাতে হয়।”
কালা বাবুকে ঘিরে এখন এলাকায় ব্যাপক আলোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, এটি হতে পারে রাণীশংকৈল উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।
এবারের কোরবানিতে গরুটি বিক্রি করে দিতে চান মনোয়ার। দাম চেয়েছেন ৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, “যারা কিনতে আগ্রহী, তারা বাড়িতে এসে কিংবা হাটে গিয়ে দেখে শুনে দাম করতে পারবেন।”
গরুটি আগামী রবিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ বাজারে তোলা হবে। আগ্রহীরা চাইলে সরাসরি ০১৭১৯-৩৪৬৬১৮ নম্বরে যোগাযোগ করেও গরুটি কিনতে পারেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রূপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, “আমাদের জানা মতে, মনোয়ার হোসেনের ‘কালা বাবু’ গরুটিই এখন পর্যন্ত উপজেলায় সবচেয়ে বড়। এটি কোরবানির হাটে বড় আকর্ষণ হবে বলেই আমরা মনে করছি।”