সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, বাবা-ছেলেসহ আহত ৩ ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ির উঠানে ধরা পড়ল বিরল নারী ময়ূর টিটিসিতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ঢাকতে ফেইসবুকে সাংবাদিকদের নিয়ে কটাক্ষ অধ্যক্ষের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান, দুই পরিবহনকে জরিমানা হাজী আব্দুল মজিদ ফাউন্ডেশনের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ইমামের চাকরি দেওয়ার নামে এক প্রতারণা, সেনাবাহিনীর হাতে আটক বালিয়াডাঙ্গীকে মিনি গোপালগঞ্জ বলা হতো : ফারুক হাসান সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান ঠাকুরগাঁওয়ে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো লক্ষ্য ১২ ঘন্টায় হাসপাতালে ৫৬ জন ভর্তি : বালিয়াডাঙ্গীতে ডায়রিয়া ও জমি বিরোধে চরম অবস্থা রাণীশংকৈলবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক যুবদল নেতা অ্যাপোলো

রঙিন তরমুজে ভাগ্য ফেরালেন জয়নাল, মেয়েকে দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে

oplus_1049600

 

স্টাফ রিপোর্টার :

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন ৪ জাতের তরমুজ চাষ করে যেন নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই তরমুজ বিক্রি করেই তিনি এবার নিজের মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চান। চাষির নাম জয়নাল আবেদিন। তিনি উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন রঙের তরমুজ বিক্রি করতে আসেন জয়নাল। তরমুজের রঙ, স্বাদ ও বৈচিত্র্যে মুগ্ধ হয়ে ভিড় করেন উৎসুক ক্রেতারা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা কেটে স্বাদ নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করছেন “স্বাদে-দেখতে দুইটাই ভালো!”

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বালিয়াডাঙ্গীতে এবারই প্রথমবার গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এসব জমিতে বিষমুক্তভাবে ৪/৫ প্রকারের ব্যতিক্রমী রঙের তরমুজ চাষ করা হয়। রঙের মধ্যে ছিল—বাইরে হলুদ ও ভেতরে লাল, বাইরে কালো ও ভেতরে লাল, বাইরে সবুজ ও ভেতরে লাল, এমনকি বাইরে হলুদ-সবুজ মিলেও একটি প্রজাতি।

জয়নাল আবেদিন বলেন, “আমি এক বিঘা জমিতে এসব তরমুজ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। আশা করছি বিক্রি হবে ৫০ হাজার টাকার মতো। এই আয়ে মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি খরচ চালাতে পারব। সরকারি সহযোগিতা বা ঋণ পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে চাষ করতে পারব।”

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, “উপজেলায় এই প্রথম গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ সাফল্য অন্য কৃষকদেরও উদ্বুদ্ধ করবে।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, “এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। একজন কৃষক শুধু আয় নয়, তার সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য কৃষিকেই হাতিয়ার বানিয়েছেন। এ ধরনের উদ্যোগ সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সবসময় উৎসাহিত করা হবে।”

 

 



লাইক করুন