স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে তীব্র তাপদাহে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, অন্যদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি ও আহতের ঘটনাও বাড়ছে। গেল ১২ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও জমি বিরোধে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা।
সোমবার (০৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এছাড়াও, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মারামারিতে আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৬ জন নারী-পুরুষ। সব মিলিয়ে গত ১২ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জন।
৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে হঠাৎ রোগীর এই চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
বড়বাড়ী ইউনিয়নের সর্বমঙ্গলা গ্রামের ঋতু আকতার দুপুর ১১টায় তার ছয় বছরের কন্যাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি জানান, “রবিবার বিকেল থেকেই বমি ও পাতলা পায়খানায় ভুগছিল মেয়ে। স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধে কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ভর্তির পর স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, এখনও চলছে। এত গরম, ফ্যানও ঠিকমতো কাজ করছে না।”
জমিজমা বিরোধ নিয়ে আহতদের বিষয়ে জানতে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, “ঈদের ছুটিতে প্রবাসফেরত অনেকেই এলাকায় এসে জমিজমা নিয়ে পুরনো বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন। সামাজিকভাবে এগুলো আগে থেকেই সমাধান করা উচিত ছিল। একদিনেই ২৬ জন ভর্তি হওয়া পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝায়।”
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আহাদুজ্জামান সজিব জানান, “তীব্র গরমে ডায়রিয়া বেড়ে গেছে। ঈদের দিন থেকেই প্রচণ্ড গরম পড়ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চিকিৎসা দিতে। খুব প্রয়োজন না হলে ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন বা বাড়িতেই থাকুন—এই পরামর্শ দিচ্ছি।”
এদিকে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান,“বড়পলাশবাড়ী ও দুওসুও ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”