স্টাফ রিপোর্টার:
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের দলীয় প্রার্থী ফারুক হাসান বলেছেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাকে এক সময় ‘মিনি গোপালগঞ্জ’ বলা হতো। কারণ, গত প্রায় ৩৭ বছর ধরে এখানে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া প্রভাব ছিল। তবে এখন আমরা চাই, বালিয়াডাঙ্গী নিজস্ব নামেই পরিচিত হোক বালিয়াডাঙ্গী হিসেবেই সবাই চিনুক।
তিনি বলেন, “এই উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে হলে রাজনৈতিক ব্যক্তি, প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের ঐক্যই হবে উন্নয়নের মূল শক্তি।”
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোল্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বালিয়াডাঙ্গীর বুকে আর কোনো মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি কিংবা চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজি চলবে না। এসব বন্ধ করতেই আমরা কাজ করছি। পিছিয়ে থাকা এই উপজেলাকে আমরা সামনের সারিতে নিতে চাই।”
রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিষয়ে তিনি বলেন, “বিগত ১৭ বছরে এমন অনুষ্ঠান দেখিনি যেখানে সব রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ এক মঞ্চে উপস্থিত থাকেন। আগে অনুষ্ঠান মানেই ছিল একটি দলের লোকজন। এখন আমরা সবাই একত্রে, একই মঞ্চে। এই সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তোমরা ভবিষ্যতে ভালো জায়গায় চাকরি করবে। তখন যেন তোমাদের শিক্ষক, এই উপজেলার কৃষক-শ্রমিক, প্রতিবেশীদের ভুলে না যাও। জীবনের প্রধান লক্ষ্য হোক মানবসেবা।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বালিয়াডাঙ্গী গোল্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক ওসমান আলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আলী সরকার, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম এবং কলেজের অধ্যক্ষ রায়হানুল কবির।