শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যে ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম সেই ভাই আর নেই-তারেক রহমান। বালিয়াডাঙ্গীতে ১৮০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা জব্দ, ধ্বংস করা হলো জনসম্মুখে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ মুক্ত বাংলা আইটি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার নতুন দিগন্ত। গুমের শিকার পরিবারের শিল্প প্রদর্শনীতে আমিনুল হক। বালিয়াডাঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু, বাবা ও আরেক ছেলেসহ আহত ৫ বালিয়াডাঙ্গীতে ১২৪ বস্তা সার জব্দ, ডিলারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রেসক্লাব উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দাতা সেই নব্য নেতা “মাসুদ” বহিষ্কার। রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি কৃষকদল নেতার। বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ীর পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু

যে ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম সেই ভাই আর নেই-তারেক রহমান।

যে ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম সেই ভাই আর নেই-তারেক রহমান।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কী বলেছিলেন তার একাংশ এইখানে তুলে ধরা হলো:
বিবিসি বাংলা: আপনি জুলাইয়ের সময়ের কথা বলছিলেন। সে সময়ের হত্যাকাণ্ডের কথা বলছিলেন। সেই জুলাই গণভুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আপনার আপনাদের বা বিএনপির অবস্থানটা কী আসলে?
তারেক রহমান: দেখুন, আমি ১৭ বছর যাবত প্রবাস জীবনে আছি। ওয়ান ইলেভেন, তথাকথিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় যেই শারীরিক নির্যাতন আমার উপরে হয়েছিল তারপরে চিকিৎসার জন্য আমি এই দেশে আসি।
আমি যখন এখানে আসি, আমার ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম ছোট ভাইকে। আমি যখন এই দেশে আসি আমার সুস্থ মাকে আমি রেখে এসেছিলাম। একটি ঘর রেখে এসেছিলাম। যেই ঘরে আমি এবং আমার ছোট ভাই বড় হয়েছি। যেই ঘরে আমার বাবার স্মৃতি ছিল। যেই ঘরে আমাদের দুই ভাইয়ের সন্তানরা জন্মগ্রহণ করেছিল। যেই ঘরে আমার মায়ের বহু স্মৃতি ছিল।
সেই স্মৃতিগুলোকে ভেঙে চুড়ে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম সেই ভাই এখন আর নেই। যেই সুস্থ মাকে রেখে এসেছিলাম সেই সুস্থ মা এখন সুস্থ নেই। শুধু অসুস্থই নন, উনার উপরে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে।
আমি আমার পরিবারের যেই কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এটিকে আপনারা কাহিনী বলুন, বা সংগ্রাম বলুন যেটাই বলুন না কেন, এটি শুধু আমার কাহিনী না, বা আমার পরিবারের কাহিনী না। এরকম কাহিনী বাংলাদেশের শত না, হাজার হাজার পরিবারের।
যে পরিবারের বাবা, যে পরিবারের ভাই, যে পরিবারের স্বামী তার ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় মারা গিয়েছে, তা না হলে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় জেলের ভিতরে মারা গিয়েছে, সহায় সম্পত্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে- এই সকল অন্যায়, এই সকল হত্যা, এই সকল নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, যারা এসবের হুকুম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে।
এটি প্রতিশোধের কোন বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা। এটি আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।



লাইক করুন