বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এলিট অসাধুরা নিবন্ধন পেলে, সংগ্রামী তারেকের দল কেন নিবন্ধন পাবেনা- সোহাগ আলী বাগেরহাটে গৃহবধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার রাজনীতির ভুল-ড. এস. কে. আকরাম আলী রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা : এক কিংবদন্তির স্মৃতিচারণ-ঈসা ‘মন যে বোঝে না’ মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর জনতার অধিকারের কথা বলুন, আসনের সম উন্নয়নের নিশ্চয়তা নেন। নেতার নয়, ভোট হোক জনতার ভাগ্য বদলের হাতিয়ার-সোহাগ আলী দেশ কি পলাতক হাসিনার আমলাই চালাবে-জুলাই মঞ্চ এই কংক্রিটের শহর বাগেরহাটে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতিতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্লোবাল আলায়েন্স ফর ইমপ্রুভেড নিউট্রিশন শুভ জন্মদিন জননেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ৭৫ বছরের তরুণ, সাহস, সততা ও মানবতার প্রতীক-ঈসা

টি-শার্ট পরা কিংবা বোরখা পরা উভয়েই নারী- সোহাগ আলী

ওড়না ছাড়া কিংবা টি-শার্ট পরা একজন নারী কিংবা বোরখা/হিজাব/শাড়ি পরা যিনি তিনিও একজন নারী।

দুইজনেই সম্মানিত মা-বোন, প্রিয়জনের জাতি।

আপনার মতাদর্শের বাইরে অথবা আপনার পছন্দের না তবুও তিনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, অন্যায় হলে তার পক্ষে দাঁড়ানোটাই একজন নীতিবান মানুষের দায়িত্ব ও সমাজের কর্তব্য।

সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবেও কে কোন পোশাক পরা তা কিন্তু দেখা হয়নি, বিপদের মূহুর্তে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করেছি।

 

আমাদের মা-বোনেরা কিংবা প্রিয়সীরা রাস্তা-ঘাটে বেইজ্জত হোক, ধর্ষণের শিকার হোক, বুলিং/ইভটিজিংয়ের শিকার হোক, অন্যায়ের শিকার হোক এইটা আমরা কেউ চাইনা। এইসব ঘটনা যেনো না ঘটে সেক্ষেত্রে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর হতে হবে এবং সময় উপযোগী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

অপরপক্ষে কিছু নারী অতিরঞ্জিত বিদেশি সংস্কৃতি, বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেউ কেউ তো আবার স্বেচ্ছায় প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ব্রেকআপ/সম্পর্ক ছিন্ন হলে অথবা মনের অমিল হলেই সেটাকে ধর্ষণ বলে মামলা করে, কেউ আবার মোহরানার টাকা/অর্থ সম্পত্তির লোভে একাধিক বিবাহে লিপ্ত হয়ে বহু পুরুষের জীবন ধ্বংস করে।

এমন বহু কারণে প্রকৃত ধর্ষণ মামলা কিংবা নারী নির্যাতন মামলাগুলো হালকা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে পরে, সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এইসবের প্রতিবাদে স্বয়ং নারীদেরকেই বেশি বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকার রক্ষায় বর্তমান বাস্তব সম্মত আইন করা জরুরি এবং

মনে রাখবেন নারী স্বাধীনতা/অধিকারের নামে এমন যেকোন বাড়াবাড়িও আইনিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, কোনোভাবেই মব জাস্টিস সৃষ্টি করা যাবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না, মনে রাখবেন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ দোষী হয়না।

 

কারো ব্যক্তি স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ যেমন করা যাবেনা ঠিক তেমনি সামজিক রীতি-নীতি রক্ষায়, নারী-পুরুষ উভয়কেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দেশের রাষ্ট্রীয় আইনকে বাস্তবসম্মত ও অধিকতর শক্তিশালী করতে হবে।

 

সোহাগ আলী~ ৬ই- মার্চ-২০২৫

(উদ্যোক্তা, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মী)

মুক্ত বাংলা টিভি, ঢাকা।



লাইক করুন