সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মওলানা ভাসানীর ১৪৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এনডিপির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রতিশ্রুতি গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ। রাণীশংকৈলে দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি দলিত-হরিজনরা এখনো বৈষম্যের শিকার-শুভ চন্দ্র শীল আল আমিন হত্যার বিচার এই মাটিতেই হবে: শেখ রবিউল আলম আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন: সমাজে পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টিও গুরুত্ব পাওয়া উচিত-মঞ্জুর হোসেন ঈসা আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কিন্তু সমাজে পুরুষের কাঁদতে মানা-সোহাগ আলী। বালিয়াডাঙ্গীতে গরীবের ১০ হাজার বস্তা চাল পড়ে আছে গুদামে, চার মাসেও হয়নি বিতরণ প্রস্তাবিত পরিশ্রমী মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের নতুন কমিটির অনুমোদন ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ : উভয় ক্ষেত্রেই ভারত পরাজিত হয়েছে- ড. এস. কে. আকরাম আলী

গুমের শিকার পরিবারের শিল্প প্রদর্শনীতে আমিনুল হক।

ঢাকা, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট ২০২৫):

গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন “মায়ের ডাক” আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী “Memories of Disappearance”-এ উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের গণমানুষের নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে নিখোঁজদের পরিবারের দীর্ঘদিনের বেদনা, অপেক্ষা ও শূন্যতার করুণ বাস্তবতা শিল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। প্রতিটি শিল্পকর্মে ধরা পড়ে প্রিয়জন হারানোর অসহায়তা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা।

প্রদর্শনী ঘুরে দেখে আমিনুল হক বলেন— “গুম শুধু একজন মানুষকেই কেড়ে নেয় না, এটি একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। সন্তানের অভাব বাবা-মাকে, স্বামীর অভাব স্ত্রীকে কিংবা বাবার অভাব সন্তানকে আজীবন কষ্ট দেয়। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” তিনি গুম হওয়া পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন— “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গুমের মতো ভয়াবহ অন্যায়ের কোনো স্থান নেই। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে। ন্যায়বিচারের লড়াই থেকে বিএনপি পিছিয়ে যাবে না।”

চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও তারা প্রিয়জনকে ফিরে পাননি। কিন্তু ন্যায়বিচারের দাবিতে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা মনে করছেন, এ ধরনের শিল্প উদ্যোগ রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও গুমের মতো অপরাধ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় “মায়ের ডাক”-এর সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলী, মানবাধিকারকর্মী মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ভিকটিম পরিবারের সদস্য মিনু বেগম, ঝুমুর আক্তার, রেশমা বেগমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।



লাইক করুন